জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান
জনাব আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন—১৯৮৭ সালে দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্বৈরাচার বিরোধী সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের মিছিলের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রেখে ১৯৯২ সালে কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে কলেজ ছাত্র সংসদে দলের পক্ষে ভিপি প্রার্থী হন ,,কিন্ত জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকার পরও দলিয় মনোনয়ন না পাওয়ায় পরবর্তীতে দলের প্রতি আনুগত্যের জন্য নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন এবং ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলে সক্রিয় থাকেন।১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে বিএনপির মূল রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় তাঁর হাতের আঙুল অচল হয়ে যায়। এরপরও থামিয়ে রাখতে পারেনি ২০০৩ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালে ফখরুল-মইনুল সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে মামলার শিকার হন। ২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে পরাজিত হলেও পরে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
২০১২ সালে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হন। ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন এবং একই বছর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। তবে ২০১৫ সালে সরকার তাঁকে অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করে।
তিনি আজ পর্যন্ত ১৩ বার কারাবরণ করেছেন এবং বর্তমানে ১০০টিরও বেশি রাজনৈতিক মামলার আসামী—যার একটিও ব্যক্তিস্বার্থে দায়ের নয়।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েও, পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুরোধে দলের বৃহত্তর স্বার্থে পরিবর্তিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে গেছেন।
২০২৩ সালে ৩০শে সেপ্টেম্বর নাশকতার মামলায় ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার হন পরবর্তীতে ১৩ই অক্টোবর আবার জেলগেট গ্রেফতার হন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে বারবার গ্রেফতার হয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলায় – ১নং আসামী হিসেবে ২২ জুলাই গ্রেফতার হয়ে ৬ আগস্ট কারামুক্ত হন। মুক্ত হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর মুক্তির পর গৌরীপুরে বিশৃঙ্খলা অনেকটা কমে যায়।
বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সর্বস্তরের জনগণের আস্থাভাজন ও শ্রদ্ধেয় নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইবার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে তিনি ইতোমধ্যেই গৌরীপুরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সাধারণ মানুষ মনে করে—হিরন সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংসদে যাবেন, জনগণের ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবেন, গৌরীপুরের ইতিহাস নতুন করে রচনা করবেন। তাই গৌরীপুরের প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে তার অনুসারীরা দুর্দিনের হিরন ভাই আমরা তোমায় ভুলি নাই এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ধানের শীষের পক্ষে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনের নির্দেশনায় জনসম্পৃক্ততা তৈরীর লক্ষ্যে জনগণকে নির্বাচন মুখী করতে প্রতিনিয়ত গনসংযোগ করে যাচ্ছেন। গৌরীপুরবাসীর চাওয়া আহাম্মদ তায়েয়ুর রহমান হিরন সাহেবকে ১৪৭ ময়মনসিংহ ৩ সংসদীয় আসনের ধানের শীষের কান্ডারী ও এমপি হিসাবে সংসদে পাওয়া। গৌরীপুর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের চাওয়া দুর্দিনের হিরন ভাই গৌরীপুরবাসী তোমায় ভুলে নাই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও এমপি হিসেবে চাই।